দুরূদের পর দোয়া
দুরুদের পর নিম্নের দোয়া পড়ুন (আরবী****************)
আয় আল্লাহ! আমি আমার উপরে বড় যুলুম করেছি এবং তুমি ছাড় এমন কেউ নেই, যে গুনাহ মাফ করতে পারে। অতএব তুমি আমাকে তোমার খাস মাগফেরাত দান কর এবং আমার উপর রহম কর। অবশ্যই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়াশীল।
অথবা নিম্নের দোয়া পড়ুন কিংবা উভয়টি পড়ুন। (আরবী********************)
আয় আল্লাহ্! আমি তোমার পানাহ (আশ্রয়) চাই জাহান্নামের আযাব থেকে এবং কবরের আযাব থেকে, পানাহ চাই মাসীহ দাজ্জালের ফেৎনা থেকে, পানাহ চাই জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা থেকে। হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই গুনাহ থেকে এবং প্রাণান্তকর ঋণ থেকে।
সালাম
এ দোয়া পড়ার পর নামায খতম করার জন্যে প্রথম ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে বলুন ‘আসসালামু আলাইকুম ও য়া রাহমাতুল্লাহ’ তারপর বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে বলুন ‘আসসালামু আলাকিুম ওয়া রাহমাতুল্লা’। এ কথাগুলো বলার সময় মনে করতে হবে যে, আপনার এ সালামতি ও রহমতের দোয়া নামাযের অংশগ্রহণকারী সকল নামাযীদের এবং ফেরেশতাদের জন্যে। নামায শেষ করে যে কোনো জায়েয দোয়া করতে পারেন। নবী (স) থেকে বহু দোয়া যিকির বর্ণিত আছে। এসব দোয়া ও যিকিরের অবশ্যই অভ্যাস করবেন। কিছু দোয়া নিম্নে দেয়া হলো-
নামাযের পরে দোয়া
(আরবী**************)
আমি আল্লাহর কাছে মাফ চাই। হে আল্লাহ! তুমিই শান্তির প্রতীক, শান্তিধারা তোমার থেকেই প্রবাহিত হয়। তুমি নেহায়েত মঙ্গল ও বরকত ওয়ালা, হে দয়া ও অনুগ্রহের মালিক- (মুসলিম)।
২. এতে দিন নবী (স) হযরত মাআয (রা)-এর হাত ধরে বলেন, মাআয! আমি তোমাকে ভালোবাসি। তারপর বলেন, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, তুমি কোন নামাযের পর এ দোয়াটি যেন করতে ভুলো না। প্রত্যেক নামাযের পর অবশ্যই পড়বে-
(আরবী**************)
আয় আল্লাহ! তুমি আমার মদদ কর যেন আমি তোমার শোকর আদায় করতে পারি এবং ভালভাবে তোমার বন্দেগী করতে পারি।
(আরবী***************)
আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই। তিনি এক ও একক, তাঁর শরীক নেই। কৃর্তৃত্ব প্রভূত্ব বাদশাহ একমাত্র তাঁরই এবং প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা লাভের একমাত্র অধিকারী। তিনি প্রত্যেক বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা কেউ ঠেকাতে পারে না। যা তুমি দাও না, তা আর কেু দিতে পারে না। কোন মহান ব্যক্তির মহত্ব তোমার মুকাবিলায় কোনই কজে আসে না- (বুখারী ও মুসিলম)
৪. সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার এবং একবার (আরবী********)
আল্লাহ পাক ও পবিত্র, সব প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ সকলের বড়ো, আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই। তিনি এক এবং তাঁ কোন শরীক নেই। বাদশাহী তাঁর এবং প্রশংসা বলতে একমাত্র তাঁই। এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান- (সহীহ মুসলিম –আবু হুরায়রাহ হতে)।
নারীদের নামাযের পদ্ধতি
নামাযের অধিকাংশ আরকান আদায় করার পদ্ধতি নারীদের জন্যেও তাই যা পুরুষের জন্যে। তবে নারীদের নামাযের ছ’টি জিনিস আদায়ের ব্যাপারে কিছু পার্থক্র রয়েছে। এ পার্থক্যের বুনিয়াদী কারণ হলো এ ধরণা যে, নামাযের মধ্যে নারীদেরকে সতর এবং পর্দার বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। যে ছ’টি জিনিস সমাধা করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে তা হলো-
১. তাকবীর তাহরীমায় হাত উঠানো
শীত হোক গ্রীস্ম হোক সর্বদা নারীরেদ চাদর অথবা দোপাট্টা প্রভৃতির ভেতর থেকে তাকবীর তাহরীমার জন্যে হাতত উঠাতে হবে। চাদর বা দোপাট্টর বাইরে হাত বের করা উচিত নয় এবং তাহ শুধু কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে। কান পর্যন্ত উঠাবে না।
২. হাত বাঁধা
মেয়েলোকদের হামেশা বুকের উপর হাত বাঁধতে হবে। বুকের নীচে নাভীর উপর বাঁধা উচিত হবে না। ডান হাতের বুড়ো এবং ছোটো আঙুল দিয়ে বাম হাতির কব্জি ধরার পরিবর্তে শুধু ডান হাতের হাতুলি বাম হাতের হাতুলির পিঠের উপর রাখবে।
৩. রুকু
মেয়েদেরকে রুকুতে শুধু এতটুকু ঝুঁকে পড়তে হবে যেন দু’হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌছে। হাঁটু আংগুল দিয়ে ধরার পরিবর্তে শুধু মেলানো আংগুলগুলো হাঁটুর উপর রাখবে। উপরন্তু দু’হাতের কনুই-দু’পার্শ্বের সাথে মিলিত থাকতে হবে।
৪. সিজদা
সিজদার মধ্যে মেয়েদের পেট উরুর সাথে এবং বাহু বগলের সাথে মিলিত রাখতে হবে। কনুই পর্যন্ত হাত মাটিতে রাখতে হবে এবং দু’পা খাড়া না রেখে বিছিয়ে রাখতে হবে।
৫. কা’দা এবং জালসা
কা’দা অথবা জালসায় দু’পা ডান দিকে করে বাম পার্শ্বের উপর এমনভাবে বসবে যেন ডানদিকের রান বাম দিকের রানের সাথে এবং ডান পায়ের মাংসপিন্ড বাম পায়ের উপর আসে।
৬. কেরায়াত
মেয়েদেরকে সর্বদা নিঃশব্দে কেরায়াত করতে হবে। কোন নামাযেই উচ্চ শব্দ করে কেরায়াত করার অনুমতি তাদের নেই।