10/803 وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « إزْرَةُ المُسْلِمِ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ، وَلاَ حَرَجَ ـ أَوْ لاَ جُنَاحَ ـ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الكَعْبَيْنِ، فمَا كَانَ أسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ فَهُوَ في النَّارِ، وَمَنْ جَرَّ إزَارَهُ بَطَراً لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ ». رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيحٍ
১০/৮০৩। আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুসলিমের লুঙ্গি অর্ধ গোছা পর্যন্ত ঝুলানো উচিত। গাঁটের উপর পর্যন্ত ঝুললে ক্ষতি নেই। যে অংশ লুঙ্গি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলবে, তা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। আর অহংকারবশতঃ যে ব্যক্তি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলিয়ে লুঙ্গি পরবে, তার দিকে আল্লাহ (করুণার দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না।’’ (আবূ দাঊদ, সহীহ সূত্রে)[1]
11/804 وَعَنْ ابنِ عُمَرَ رضي الله عنه، قَالَ: مَرَرتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) وَفِي إزَارِي استِرخَاءٌ، فَقَالَ: «يَا عَبدَ اللهِ، ارْفَعْ إزَارَكَ ». فَرَفَعْتُهُ ثُمَّ قَالَ: « زِدْ » فَزِدْتُ، فَمَا زِلْتُ أتَحَرَّاهَا بَعْدُ . فَقَالَ بَعْضُ القَوْم: إِلَى أينَ ؟ فَقَالَ: إِلَى أنْصَافِ السَّاقَيْنِ . رواه مسلم
১১/৮০৪। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আমার লুঙ্গি বেশ ঝুলে ছিল। সুতরাং তিনি বললেন, ‘‘হে আব্দুল্লাহ! লুঙ্গি উঠিয়ে পর।’’ অতএব আমি লুঙ্গি তুলে পরলাম। তিনি আবার বললেন, ‘‘আরো উঁচু কর।’’ আমি আরো উঁচু করলাম। এরপর বরাবর আমি এর খেয়াল রাখতে থাকলাম; যেন লুঙ্গি নীচে না নামে। কিছু লোক (আব্দুল্লাহকে) জিজ্ঞাসা করল, ‘কতদূর পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরা যাবে?’ তিনি উত্তরে বললেন, ‘অর্ধ গোছা পর্যন্ত।’ (মুসলিম)[2]
12/805 وَعَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ ». فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: فَكَيْفَ تَصْنَعُ النِّسَاءُ بذُيُولِهِنَّ ؟ قَالَ: « يُرْخِينَ شِبْراً ». قَالَتْ: إِذَاً تَنْكَشِفُ أقْدَامُهُنَّ. قَالَ: «فَيُرخِينَهُ ذِرَاعاً لاَ يَزِدْنَ» رواه أَبُو داود والترمذي، وقال:«حديث حسن صحيح»
১২/৮০৫। পূর্বোক্ত বর্ণনাকারী হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘অহংকারবশতঃ যে ব্যক্তি গাঁটের নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার দিকে (করুণার দৃষ্টিতে) দেখবেন না।’’ উম্মে সালামাহ প্রশ্ন করলেন, ‘তাহলে মহিলারা তাদের কাপড়ের নিম্নপ্রান্তের ব্যাপারে কী করবে?’ তিনি বললেন, ‘‘আধ হাত বেশী ঝুলাবে।’’ উম্মে সালামাহ বললেন, ‘তাহলে তো তাদের পায়ের পাতা খোলা যাবে!’ তিনি বললেন, ‘‘তাহলে এক হাত পর্যন্ত নীচে ঝুলাবে; তার বেশী নয়।’’ (আবূ দাউদ ও তিরমিযী)[3]
[1] আবূ দাউদ ৪০৯৩, ইবনু মাজাহ ৩৫৭০, ৩৫৭৩, আহমাদ ১০৬২৭, ১০৬৪৫, ১০৮৬৩, ১১০০৪, ১১০৯৫, ১১৫১৫, মুওয়াত্তা মালেক ১৬৯৯
[2] সহীহুল বুখারী ৩৪৮৫, ৩৬৬৫, ৫৭৮৩, ৫৭৮৪, ৫৭৯১, মুসলিম ২০৮৫, ২০৮৬, তিরমিযী ১৭৩১, নাসায়ী ৪৩২৬, ৪৩২৭, ৪৩২৮, ৫৩৩৫, ৫৩৩৬, আবূ দাউদ ৪০৮৫, ৪০৯৪, ইবনু মাজাহ ৩৫৬৯, আহমাদ ৪৪৭৫, ৪৫৫৩, ৪৮৬৯, ৪৯৯৪, ৫০১৮, ৫০৩০,৫০৩৫, ৫১৫১, ৫১৬৬, ৫২২৬, ৫৩০৫, ৫৩১৮, ৫৩২৮, মুওয়াত্তা মালেক ১৬৯২, ১৬৯৮
[3] ৭৯৫ এর মত