9/645 وَعَن أَبي يَعلَى شَدَّادِ بنِ أَوسٍ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: « إنَّ الله كَتَبَ الإحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، فَإذَا قَتَلْتُم فَأحْسِنُوا القِتْلَة، وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأحْسِنُوا الذِّبْحَةَ، وَليُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَه، وَلْيُرِح ذَبِيحَتَهُ ». رواه مسلم
৯/৬৪৫। আবূ ইয়া’লা শাদ্দাদ ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মহান আল্লাহ প্রতিটি কাজকে উত্তমরূপে (অথবা অনুগ্রহের সাথে) সম্পাদন করাটাকে ফরয করে দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা যখন (কাউকে) হত্যা করবে, তখন ভালভাবে হত্যা করো এবং যখন (পশু) জবাই করবে, তখন ভালভালে জবাই করো। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, সে যেন নিজ ছুরি ধারাল করে নেয় এবং যবেহযোগ্য পশুকে আরাম দেয়।’’ (অর্থাৎ জবাই-এর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে।) (মুসলিম) [1]
10/646 وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَت: مَا خُيِّرَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) بَيْنَ أمْرَيْنِ قَطُّ إِلاَّ أَخَذَ أيْسَرَهُمَا، مَا لَمْ يَكُنْ إثماً، فَإنْ كَانَ إثماً، كَانَ أبْعَدَ النَّاسِ مِنْهُ . وَمَا انْتَقَمَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) لِنَفْسِهِ في شَيْءٍ قَطُّ، إِلاَّ أن تُنْتَهَكَ حُرْمَةُ الله، فَيَنْتَقِمَ لِلَّهِ تَعَالَى . متفقٌ عَلَيْهِ
১০/৬৪৬। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখনই দু’টি কাজের মধ্যে স্বাধীনতা দেওয়া হত, তখনই তিনি সে দু’টির মধ্যে সহজ কাজটি গ্রহণ করতেন; যদি সে কাজটি গর্হিত না হত। কিন্তু তা গর্হিত কাজ হলে তিনি তা থেকে সকলের চেয়ে বেশি দূরে থাকতেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্য কখনই কোন বিষয়ে প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। কিন্তু (কেউ) আল্লাহর হারামকৃত কাজ করে ফেললে তিনি কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য প্রতিশোধ নিতেন।’(বুখারী ও মুসলিম) [2]
11/647 وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): « ألاَ أُخْبِرُكُمْ بِمَنْ يَحْرُمُ عَلَى النَّار ؟ أَوْ بِمَنْ تَحْرُمُ عَلَيْهِ النَّار ؟ تَحْرُمُ عَلَى كُلِّ قَرِيبٍ، هَيّنٍ، لَيِّنٍ، سَهْلٍ » رواه الترمذي، وقال:«حديث حسن»
১১/৬৪৭। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আমি কি তোমাদেরকে সে সমস্ত লোক সম্পর্কে বলব না, যারা জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম অথবা যাদের জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম? এ (আগুন) প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির জন্য হারাম হবে, যে মানুষের নিকটবর্তী, নম্র, সহজ ও সরল।’’ (তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [3]
[1] মুসলিম ১৯৫৫, তিরমিযী ১৪০৯, নাসায়ী ৪৪০৫, ৪৪১১, ৪৪১২, ৪৪১৩, ৪৪১৪, আবূ দাউদ ২৮১৫, ইবনু মাজাহ ৩১৭০, আহমাদ ১৬৬৬৪, ১৬৬৭৯, ১৫৬৮৯, দারেমী ১৯৭০
[2] সহীহুল বুখারী ৩৫৬০, ৬১২৬, ৬৭৮৬, ৬৮৫৩, মুসলিম ২৩২৭, আবূ দাউদ ৪৭৮৫, আহমাদ ২৩৫১৪, ২৪০২৮, ২৪২৯৯, ২৪৩০৯, ২৪৩২৫, ২৪৭৬০, মুওয়াত্তা মালিক ১৬৭১
[3] তিরমিযী ২৪৮৮, আহমাদ ৩৯২৮