73- بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ
পরিচ্ছেদ – ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٖ ٤ ﴾ [القلم: ٤]
অর্থাৎ “তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা ক্বালাম ৪ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي ٱلسَّرَّآءِ وَٱلضَّرَّآءِ وَٱلۡكَٰظِمِينَ ٱلۡغَيۡظَ وَٱلۡعَافِينَ عَنِ ٱلنَّاسِۗ ﴾ [ال عمران: ١٣٤]
অর্থাৎ “সেই দ্বীনদারদের জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় দান করে, ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে থাকে।” (সূরা আলে ইমরান ১৩৪ আয়াত)
1/626 وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) أحْسَنَ النَّاسِ خُلُقاً . متفقٌ عَلَيْهِ
১/৬২৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব মানুষের চাইতে বেশি সুন্দর চরিত্রের ছিলেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
2/627 وَعَنهُ، قَالَ: مَا مَسِسْتُ دِيبَاجاً وَلاَ حَرِيراً ألْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، وَلاَ شَمَمْتُ رَائِحَةً قَطُّ أطْيَبَ مِنْ رَائِحَةِ رَسُولِ اللهِ (صلى الله عليه و سلم)، وَلَقَدْ خَدَمتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) عَشْرَ سِنِينَ، فَمَا قَالَ لِي قَطُّ: أُفٍّ، وَلاَ قَالَ لِشَيءٍ فَعَلْتُهُ: لِمَ فَعَلْتَه ؟ وَلاَ لشَيءٍ لَمْ أفعَلهُ: ألاَ فَعَلْتَ كَذَا ؟ متفقٌ عَلَيْهِ
২/৬২৭। উক্ত রাবী হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর করতল অপেক্ষা অধিকতর কোমল কোনো পুরু বা পাতলা রেশম আমি স্পর্শ করিনি। আর তাঁর শরীরের সুগন্ধ অপেক্ষা অধিকতর সুগন্ধ কোন বস্তু আমি কখনো শুঁকিনি। আর আমি দশ বছর পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমত করেছি। তিনি কখনোও আমার জন্য ‘উঃ’ শব্দ বলেননি। কোন কাজ করে বসলে তিনি এ কথা জিজ্ঞেস করেননি যে, ‘তুমি এ কাজ কেন করলে?’ এবং কোন কাজ না করলে তিনি বলেননি যে, ‘তা কেন করলে না?’ (বুখারী ও মুসলিম) [2]
3/628 وَعَنِ الصَّعبِ بنِ جَثَّامَةَ رضي الله عنه، قَالَ: أَهدَيتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) حِمَاراً وَحْشِيّاً، فَرَدَّهُ عَلَيَّ، فَلَمَّا رَأَى مَا فِي وَجهِي، قَالَ: « إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكَ إِلاَّ ِلأَنَّا حُرُمٌ». متفقٌ عَلَيْهِ
৩/৬২৮। সা‘ব ইবনে জাসসামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (শিকার করা) এক জংলী গাধা উপঢৌকন দিলাম। কিন্তু তিনি তা আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। তারপর তিনি আমার চেহারায় (বিষণ্ণতার চিহ্ন) দেখে বললেন, ‘‘আমরা ইহরামের অবস্থায় আছি, তাই আমরা এটি তোমাকে ফিরিয়ে দিলাম।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [3] (যেহেতু ইহরাম অবস্থায় শিকার করা ও তার গোশ্ত খাওয়া নিষিদ্ধ।)
4/629 وَعَنِ النَّوَاسِ بنِ سَمعَانَ رضي الله عنه، قَالَ: سَأَلتُ رَسُولَ اللهِ (صلى الله عليه و سلم) عَن البِرِّ وَالإثمِ، فَقَالَ: « البِرُّ: حُسنُ الخُلُقِ، والإثمُ: مَا حَاكَ فِي صَدرِكَ، وكَرِهْتَ أن يَطَّلِعَ عَلَيْهِ النَّاسُ ». رواه مسلم
৪/৬২৯। নাওয়াস ইবনে সাম‘আন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পুণ্য ও পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, ‘‘পুণ্য হল সচ্চরিত্রতার নাম। আর পাপ হল তাই, যা তোমার অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং তা লোকে জেনে ফেলুক এ কথা তুমি অপছন্দ কর।’’ (মুসলিম) [4]
[1] সহীহুল বুখারী ৬২০৩, ৬১২৯, মুসলিম ২১৫০, তিরমিযী ৩৩৩, ১৯৬৯, আবূ দাউদ ৬৫৮, ৪৯৬৯, ইবনু মাজাহ ৩৭২০, ৩৭৪০, আহমাদ ১১৭২, ১১৭৮৯, ১২২১৫, ১২৩৪২, ১২৪৩৩
[2] সহীহুল বুখারী ৩৫৪৭, ৩৫৪৮, ৩৫৫০, ৩৫৬১, ৩৫৮৯৪, ৫৮৯৫, ৫৯০০, ৫৯০৩, ৫৯০৪, ৫৯০৫, ৫৯০৬, ৫৯১২, ৫৯০৭, মুসলিম ২৩৩৮, ২৩৪১, ২৩৪৭, তিরমিযী ১৮৫৪, ৩৬২৩, নাসায়ী ৫০৫৩, ৫০৮৬, ৫০৮৭, ৫২৩৪, ৫২৩৫, আবূ দাউদ ৪১৮৫, ৪১৮৬, ইবনু মাজাহ ৩৬২৯, ৩৬৩৪, আহমাদ ১২৩৭৩, ১১৫৫৪, ১১৫৭৭, ১১৬৪২, মুওয়াত্তা মালিক ১৪৩৪, ১৭০৭, দারেমী ৬১৬২
[3] সহীহুল বুখারী ১৮২৫, ২৫৭৩, ২৫৯৬, মুসলিম ১১৯৩, ১১৯৪, তিরমিযী ৮৪৯, নাসায়ী ২৮১৯, ২৮২০, ২৮২৩, ইবনু মাজাহ ৩০৯০, আহমাদ ১৫৯৮৭, ১৫৯৮৮, ১৬২২১, ১৬২৩৫, ২৭৮১২, মুওয়াত্তা মালিক ৭৯৩, দারেমী ১৮২৮, ১৮৩০
[4] মুসলিম ২৫৫৩, তিরমিযী ২৩৮৯, আহমাদ ১৭১৭৯, দারেমী ২৭৮৯