69- بَابُ اِسْتِحْبَابِ الْعُزْلَةِ عِنْدَ فَسَادِ النَّاسِ وَالزَّمَانِ أَوِ الْخَوْفِ مِنْ فِتْنَةٍ فِي الدِّيْنِ أَوْ وُقُوْعٍ فِيْ حَرَامٍ وَّشُبُهَاتٍ وَّنَحْوِهَا
পরিচ্ছেদ – ৬৯: যুগের মানুষ খারাপ হলে অথবা ধর্মীয় ব্যাপারে ফিতনার আশঙ্কা হলে অথবা হারাম ও সন্দিহান জিনিসে পতিত হওয়ার ভয় হলে অথবা অনুরূপ কোন কারণে নির্জনতা অবলম্বন করা উত্তম
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ فَفِرُّوٓاْ إِلَى ٱللَّهِۖ إِنِّي لَكُم مِّنۡهُ نَذِيرٞ مُّبِينٞ ٥٠ ﴾ [الذاريات: ٥٠]
অর্থাৎ “সুতরাং তোমরা আল্লাহর দিকে পলায়ন কর; নিশ্চয় আমি তাঁর পক্ষ হতে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী।” (সূরা যারিয়াহ ৫০ আয়াত)
1/602 وَعَن سَعدِ بنِ أَبي وَقَّاصٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُول الله (صلى الله عليه و سلم)، يَقُولُ: «إنَّ الله يُحِبُّ الْعَبْدَ التَّقِيَّ الغَنِيّ الْخَفِيَّ ». رواه مسلم
১/৬০২। সা‘দ ইবনে আবী অক্কাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ঐ বান্দাকে ভালোবাসেন, যে পরহেযগার (সংযমশীল), অমুখাপেক্ষী ও আত্মগোপনকারী।’’ (মুসলিম)[1]
2/603 وَعَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: أيُّ النَّاسِ أفْضَلُ يَا رَسُولَ الله ؟ قَالَ: «مُؤْمِنٌ مُجَاهِدٌ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ في سَبيلِ اللهِ» قَالَ: ثُمَّ مَنْ ؟ قَالَ: «ثُمَّ رَجُلٌ مُعْتَزِلٌ فِي شِعْبٍ مِنَ الشِّعَابِ يَعْبُدُ رَبَّهُ » . وفي رواية: «يَتَّقِي اللهَ، وَيَدَعُ النَّاسَ مِنْ شَرِّهِ ». متفقٌ عَلَيْهِ
২/৬০৩। আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রসূল! কোন্ ব্যক্তি সর্বোত্তম?’ তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘ঐ মু’মিন যে আল্লাহর পথে তার জান ও মাল দিয়ে যুদ্ধ করে।’’ সে বলল, ‘তারপর কে?’ তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তারপর ঐ ব্যক্তি যে কোন গিরিপথে নির্জনে নিজ প্রতিপালকের ইবাদত করে।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যে আল্লাহকে ভয় করে এবং লোকদেরকে নিজের মন্দ আচরণ থেকে নিরাপদে রাখে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [2]
3/604 وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ (صلى الله عليه و سلم): «يُوشِكُ أنْ يَكُونَ خَيْرَ مَالِ المُسْلِمِ غَنَمٌ يَتَّبِعُ بِهَا شَعَفَ الجِبَالِ، وَمَواقعَ الْقَطْر يَفِرُّ بِدينِهِ مِنَ الفِتَنِ ». رواه البخاري
৩/৬০৪। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘সত্বর এমন এক সময় আসবে যে, ছাগল-ভেড়াই মুসলিমের সর্বোত্তম মাল হবে; যা নিয়ে সে ফিতনা থেকে তার দ্বীনকে বাঁচানোর জন্য পাহাড়-চূড়ায় এবং বৃষ্টিবহুল (অর্থাৎ তৃণবহুল) স্থানে পলায়ন করবে।’’ (বুখারী) [3]
4/605 وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ (صلى الله عليه و سلم)، قَالَ: «مَا بَعَثَ اللهُ نَبِيّاً إِلاَّ رَعَى الْغَنَمَ » فَقَالَ أصْحَابُهُ: وأنْتَ ؟ قَالَ: «نَعَمْ، كُنْتُ أرْعَاهَا عَلَى قَرَارِيطَ لأَهْلِ مَكَّةَ ». رواه البخاري
৪/৬০৫। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন নবী প্রেরণ করেননি, যিনি বকরী চরাননি।’’ তাঁর সাহাবীগণ বললেন, ‘আর আপনিও?’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ! আমিও কয়েক ক্বীরাত্বের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের বকরী চরাতাম।’’ (বুখারী) [4]
5/606 وَعَنهُ، عَن رَسُولِ الله (صلى الله عليه و سلم)، أنَّه قَالَ: «مِنْ خَيْرِ مَعَاشِ النَّاسِ لَهُم رَجُلٌ مُمْسِكٌ عِنَانَ فَرَسِهِ فِي سَبيلِ الله، يَطيرُ عَلَى مَتْنِهِ كُلَّمَا سَمِعَ هَيْعَةً أَوْ فَزعَةً، طَارَ عَلَيْهِ يَبْتَغِي القَتْلَ، أَوْ المَوْتَ مَظَانَّه، أَوْ رَجُلٌ فِي غُنَيمَةٍ في رَأسِ شَعَفَةٍ مِنْ هذِهِ الشَّعَفِ، أَوْ بَطنِ وَادٍ مِنْ هذِهِ الأَوْدِيَةِ، يُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَيُؤتِي الزَّكَاةَ، وَيَعْبُدُ رَبَّهُ حَتَّى يأتِيَهُ اليَقِينُ، لَيْسَ مِنَ النَّاسِ إِلاَّ فِي خَيْرٍ». رواه مسلم
৫/৬০৬। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম জীবন সেই ব্যক্তির, যে আল্লাহর পথে তার ঘোড়ার লাগাম ধরে আছে। যখনই সে যুদ্ধের ভয়ানক শব্দ শোনে, তখনই সেখানে তার পিঠে চড়ে দ্রুতগতিতে পৌঁছে যায়। দ্রুতগতিতে পৌঁছে সে হত্যা অথবা মৃত্যুর সম্ভাব্য জায়গাগুলো খোঁজ করে। অথবা সর্বোত্তম জীবন সেই ব্যক্তির, যে কতিপয় ছাগল-ভেড়া নিয়ে কোন পাহাড়-চূড়ায় কিংবা কোন উপত্যকার মাঝে বসবাস করে। সেখানে সে তার নিকট মৃত্যু আসা পর্যন্ত নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং নিজ প্রতিপালকের ইবাদত করে। লোকদের মধ্যে এ ব্যক্তি উত্তম অবস্থায় রয়েছে।’’ (মুসলিম) [5]
[1] মুসলিম ২৯৬৫, আহমাদ ১৪৪৪, ১৫৩২
[2] সহীহুল বুখারী ২৭৮৬, ৬৪৯৪, মুসলিম ১৮৮৮, তিরমিযী ১৬৬০, নাসায়ী ৩১০৫, আবূ দাউদ ২৪৮৫, ইবনু মাজাহ ৩৯৭৮, আহমাদ ১০৭৪১, ১০৯২৯, ১১১৪১, ১১৪২৮
[3] সহীহুল বুখারী ১৯, ৩৩০০, ৩৬০০, ৬৪৯৫, ৭০৮৮, নাসায়ী ৫০৩৬, আবূ দাউদ ৪২৬৭, ইবনু মাজাহ ৩৯৮০, আহমাদ ১০৬৪৯, ১০৮৬১, ১০৯৯৮, ১১১৪৮, ১১৪২৮
[4] সহীহুল বুখারী ২২৬২, ইবনু মাজাহ ২১৪৯
[5] মুসলিম ১৮৮৯, ইবনু মাজাহ ৩৯৭৭, আহমাদ ৮৮৯৭, ৯৪৩০, ১০৪০০